আজ শুক্রবার, ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মোদির বক্তব্য মিথ্যা : রাহুল

ডিটেনশন ক্যাম্প নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মিথ্যা কথা বলছেন বলে অভিযোগ করেছেন দেশটির কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। বৃহস্পতিবার এমনই টুইট করে আসামের মাটিয়া এলাকায় একটি ডিটেনশন ক্যাম্পের ভিডিও আপলোড করেছেন তিনি। তিনি লেখেন ‘আরএসএস’এর প্রধানমন্ত্রী ভারত মাতাকে মিথ্যা কথা বলছেন।

গত ২২ ডিসেম্বর দিল্লির রামলীলা ময়দানে এক সভা থেকে দেশে একটিও ডিটেনশন ক্যাম্প নেই বলে দাবি করেন মোদি। কংগ্রেসসহ বিরোধীদের নিশানা করে মোদি বলেছিলেন, ‘কংগ্রেস ও তার বন্ধুরা এবং শহরের শিক্ষিত নকশালরা গুজব ছড়াচ্ছে যে সকল মুসলিমদের ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হবে…। মানুষকে ডিটেনশন ক্যাম্পে আটকে রাখা হচ্ছে বলে যে খবর রটানো হচ্ছে তাও ভুয়া। আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই যে গোটা দেশে কোথাও একটি ডিটেনশন ক্যাম্প নেই।’

এরপরই রাহুলের এই টুইট। আসামে যে ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি করা হচ্ছে-তার ছবিসহ কয়েক মাস আগে ভারতের প্রথম সারির পত্রিকাতে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তবে সরকারি সূত্রে খবর এনআরসি’এর এই ডিটেনশন ক্যাম্পের কোন সম্পর্ক নেই। বিদেশি আইন ও পাসপোর্ট আইন লঙ্ঘন করার অভিযোগে বিদেশি নাগরিকদের ওই ডিটেনশন ক্যাম্পে আটক রাখা হবে। পরে আইন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে।

বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য রাহুল গান্ধীর উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে টুইটে জানান, ২০১১ সালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় একটি প্রেস বিবৃতি দেয়। সেখানে বলা হয়েছে আসাম সরকার (সেসময় কেন্দ্রে ও রাজ্যে কংগ্রেস ক্ষমতাসীন ছিল) তিনটি ডিটেনশন ক্যাম্প স্থাপন করেছিল-এগুলো হল গোয়ালপারা, কোকরাঝাড় ও শিলচর। এই তিনটি ক্যাম্পে ৩৬২ জন অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের প্রেরণ করা হয়েছে।

মালব্যের প্রশ্ন ‘ভারতের মানুষ আপনাদের-কে প্রত্যাখান করার কারণেই কি ঘৃণ্য রাজনীতি ও মানুষের মনে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করছেন?’ উল্লেখ্য, বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে খবর, প্রায় ৪৬ কোটি রুপি ব্যয়ে মাটিয়ায় যে ডিটেনশন ক্যাম্পটি তৈরি করা হচ্ছে, সেখানে ৩ হাজার মানুষকে আটক রাখা যাবে। ১৫তলা বিশিষ্ট এই ভবনটিতে ১৩টি তলা পুরুষদের জন্য এবং বাকী দু’টি তলা নারীদের রাখার ব্যবস্থা করা হবে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ